মাজহারুল মিচেল: [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়।

[৩] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বঙ্গবন্ধুর খুনি পলাতক আসামীদের ব্যাপারে খোঁজ দিতে সবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। বিভিন্ন মিশনে পদায়ন করেছে। আমি সবার প্রতি আহবান জানাই, বঙ্গবন্ধুর খুনি পলাতকদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলেই সরকার আপনাদের পুরস্কার দিবে।

[৪] পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পলাতকদের মধ্যে দুজন, যাদের একজন আমেরিকায় থাকে, রাশেদ চৌধুরী। অন্যজন (নূর চৌধুরী) সে থাকে কানাডায়। তাদের নিয়ে আসার জন্য আমরা অনেক চিঠি দিয়েছি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও চিঠি লিখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। আমরা যখন স্টেট ডিপার্টমেন্টে বলি, তারা তখন বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আছে। আর নতুন কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

[৫] পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কানাডায় থাকা আরেক আসামির অবস্থান কি সেটাও তারা (কানাডা সরকার) বলে না। সেজন্য কানাডায় আমরা কেসও করেছি। কানাডার সরকার বারবার অজুহাত দেখায় যে, যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড আছে সেসব দেশে তারা আসামি পাঠাবে না। এভাবে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দিচ্ছে।

[৬] সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা আওয়াজ তুলুন, আমেরিকা ও কানাডার মত শক্তিশালী আইনের দেশ খুনিদের কেন আশ্রয় দেয়? তিনি কানাডা ও আমেরিকার প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, খুনিদের বাড়ির সামনে গিয়ে ডেমনস্ট্রেশন (বিক্ষোভ) করতে হবে। 

[৭] খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারিভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশে যারা বুদ্ধিজীবীরা আছেন তারা গবেষণামূলক বই বের করেন। সাংবাদিকরা (তথ্য দিয়ে) সাহায্য করলে আমরা এগুলো এভিডেন্স হিসেবেও প্রদান করতে পারি।

 [৮] প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন প্রমুখ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না